নিউরোলজি কাকে বলে| গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ুরোগের লহ্মণ

স্নায়ুবিক রোগ গুলো হলো ১. স্ট্রোক ২. মৃগী ৩. ডিমেনশিয়া ৪. মাইগ্রেন ৫. পার্কিনসন ৬. নিউরোমাস্কুলার ৭. ব্রেন টিউমার ৮. স্ক্লেরোসিস।

 


নিউরোলজি কাকে বলে/ নিউরোলজি কি

অ্যালোপ্যাথী চিকিৎসা বিভাগের একটি শাখা যে খানে স্নায়ুবিক রোগ, উপসর্গ এবং চিকিৎসা ও গবেষণা করা হয়। একজন স্নায়ু বিশেষজ্ঞ যে নিউরো সার্জারি চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করেন তাকে নিউরোলজিস্ট (neurologist)  বলা হয়।

নিউরোলজি রোগের লহ্মণ :

মানবদেহের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে মস্তিষ্ক। স্নায়ুবিক রোগ গুলো শুধু মাত্র কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে সাথে সীমাবদ্ধ নয় বরং প্রান্তস্থ স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন অংশের সাথে সম্পর্কিত তার মধ্যে রয়েছে পেরিফেরাল এবং স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র, স্পাইনাল কর্ড, মস্তিষ্ক, নিউরোমাস্কুলার ও নার্ভ রুট স্নায়ু পেশীর অন্তর্ভুক্ত সকল সমস্যা গুলো। 
নিউরোলজিক্যাল গুরুত্বপূর্ণ রোগ গুলো হলো - পার্কিনসন, মৃগীরোগ,ডিমেনশিয়া,অ্যালঝেইমারস,স্ট্রোক,
মাইগ্রেন, নিউরোমাস্কুলার ডিসঅর্ডার, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, ট্রমাজনিত, ব্রেন টিউমার, মাথা ব্যথা এগুলো। 

মৃগী রোগ ( Epilepsy) : 

স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে যেসব রোগ হয়। তার প্রথম ও প্রধান হলো মৃগী রোগ। মুলত মস্তিষ্কের প্রদাহ, জ্বর, অক্সিজেনের ঘাটতি জনিত কারনে এই সমস্যার উৎপত্তি হয়। এছাড়াও জিনেটিক বা হরমোনের কারণে বংসগতভাবে হয়ে থাকে। এই রোগের বিশেষ কোনো নিরাময়যোগ্য চিকিৎসা ও ঔষধ এখন পর্যন্ত বের হয়নি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ব্যায়াম করলে অনেকাংশে কমে বা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।


স্ট্রোক:

মস্তিষ্কের রক্তনালি সুংকুচিত হওয়ার ফলে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় এবং নার্ভ ছিড়ে যায়। ফলে স্ট্রোক হয়। স্ট্রোক একটি স্নায়বিক রোগ হলেও বিভিন্ন কারণে স্ট্রোক হয়। উচ্চরক্ত চাপ, টেনশন, রক্তনালিতে কোলেস্টেরল জমা হওয়ার ফলে স্ট্রোক হয়।

স্ট্রোক হওয়ার লক্ষণ প্রথমে হালকা দুই একবার স্ট্রোক হয়। এবং খুব দ্রুত সেরে যায়। এরপর আচমকা বড়ধড়নের স্ট্রোক হয় যা মৃত্যু ঝুকিপূর্ণ। 

নিউরোমাস্কুলার ডিসঅর্ডার : 

স্নায়ুবিক অনেকগুলো রোগ নিউরোমাস্কুলারে অন্তর্ভুক্ত  এই রোগের ক্ষেত্রে পেশীর কার্যক্রোমগুলোকে প্রভাবিত করে। বৈ-দুতিক শকের মত ঝিমঝিমানো, অসারতা, পেশীদুর্বলতা,পুষ্টি হীনতার কারণে হাড় ক্ষয় হওয়া এই রোগের প্রধান উপসর্গ।


ব্রেন টিউমার :

স্নায়ুকোষের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন এবং অস্বাভাবিক বৃদ্ধি জন্য হয়। অবস্থান ও টিস্যুর ধরনের উপর নির্ভর করে বিভক্ত করা হয়। ম্যালিগন্যান্ট বা ক্যান্সার আক্রান্ত টিস্যু
এবং বিনাইন বা ক্যান্সারমুক্ত টিস্যু।


পার্কিনসন ডিজিজ কি

মুলত কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের জটিল একধরনের রোগ মস্তিষ্কের গতিবিধির উপর প্রভাব বিস্তার করে।এধরণের রোগের ক্ষেত্রে কথা বলা, হাটা চলার, পেশীর দুর্বলতা, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হাটতে অক্ষমতা প্রধান লহ্মণ।

মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস 

মারাত্মক নিউরোলজিকাল ডিসঅর্ডার যা আংশিক ও স্থায়ীভাবে নার্ভ এবং মেরুদণ্ড কে বিকল করে। কাপুনি, অসারতা, হাত পায়ের আঙ্গুল নরাচরা করতে দুর্বলতা অনুভব করা এসব লক্ষণ দেখা যায়।

অ্যালঝেইমার/ডিমেনশিয়া

ভুলে যাওয়া এই রোগের প্রধান লক্ষন। তাই এই রোগের নাম হচ্ছে সৃতিভ্রংশ। ৬৫ বছরের ঊর্ধ মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়। ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ব্যাক্তি কিছুহ্মন আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা মনে রাখতে পারে না। একই সময়ের মধ্যে একই প্রশ্নের বার বার পুনরাবৃত্ত করা। সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয় স্নায়ু দুর্বলতার কারণে। বংশগত বা জিনগত ও হয়ে থাকে। ডিমেনশিয়ার অনেকগুলো ধরণ রয়েছে, পারকিনসন্স, আলঝেইমার, ভ্যাসকিউলার ডিজিজ সবগুলোই ডিমেনশিয়া রোগের অন্তর্ভুক্ত স্নায় রোগ।


মাইগ্রেন :

মাইগ্রেইনের ব্যথা একটি স্নায়বিক রোগ। এই রোগের লক্ষন মাথার একদিক থেকে ধীরে ধীরে ব্যথা শুরু হয়ে সমস্ত মস্তিষ্কে বিস্তার লাভ করে। মাইগ্রেইনের ব্যথা প্রচন্ড তীব্র হয়। মস্তিষ্কের সিরা গুলো ফুলে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যথা থাকে।

Neurological disease স্নায়বিক রোগের উন্নত চিকিসা বাংলাদেশে পাওয়া যায়। Neurology hospital in dhaka ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইন্স এন্ড হাসপাতালে (National Institute of Neurosciences & Hospital অভিজ্ঞ Neurologist Doctor রয়েছে। হাসপাতালটি শুধু স্নায়বিক রোগ নিরাময় ও গবেষণার জন্য বিখ্যাত।



১টি মন্তব্য

  1. ধন্যবাদ
© Neurologyhealthinfo. All rights reserved. Distributed by ASThemesWorld