জিবিএস রোগের উপসর্গ কারন ও চিকিৎসা

শরীরের ইমিউন সিস্টেম এ থাকা পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন অংশ মস্তিক, মেরুদণ্ডের বাইরে অবস্থিত স্নায়ুতে আক্রান্ত হয়।

 জিবিএস (Guillain Barre Syndrome) গুলেন বারি সিন্ড্রোম কি 

Guillain Barre Syndrome is a neurological disease নিউরোলজিক্যাল  বিরল প্রকৃতির নিরব ঘাতক রোগ। যা শরীরের ইমিউন সিস্টেম এ থাকা পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন অংশ মস্তিক, মেরুদণ্ডের বাইরে অবস্থিত স্নায়ুতে আক্রান্ত হয়।

জি বি এস ভাইরাস কেন হয়? জিবিএস ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা সংক্রমনের ফলে হয়। সিজার, অস্ত্রপাচার,  ও জিকা ভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলোতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বশি হয়ে থাকে।

জিবিএস সাধারণত সকল বয়সের শিশু, নারী এবং পরুষের হতে পারে। (Guillain Barre Syndrome pronounciation) তবে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী  এটি প্রাপ্ত বয়স্ক পরুষের শরীরে বেশী দেখা যায়।

জিবিএস আক্রান্ত রোগির নিয়মিত পরিচর্যা ও যত্নের মাধ্যমে খুব অল্প সংখ্যক রোগী  সুস্থ হয়। তবে গুরুতর  আক্রান্ত হলে  সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম এমনকি মৃত্যু হয়। গুরুতর আক্রান্তদের ক্ষেতে কিছু সংখ্যক আছে চিরতরে প্রতিবন্ধি হয়ে যায়।

এ রোগে আক্রান্তদের নিবির পরিচর্যা ও যত্নের প্রয়োজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী (Immunotherapy) কার্যকর ভুমিকা রাখে।

GBS এর উপসর্গ ও লক্ষণ :

জিবিএস রোগে আক্রান্ত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগ থেকে কিছু ছোট ছোট উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়।(guillain-barre syndrome symptoms) প্রধান সমস্যাই হলো দুর্বলতা  মুখ, পায়ে এবং বাহুতে ছড়িয়ে পড়ে। এছড়া  শরীরে দুর্বলতা অনুভব করা হাটার চলার সময় পায়ের পেশীগুলোতে শক্তি কমে যাওয়া। শিশুদের ক্ষেত্রে দাড়াতে পারে না। হাটতে চেষ্টা করে না এমন সমস্যা হয়।হাত পায়ের আঙ্গুলে নড়াচড়া করতে পারে না।

এ রোগের প্রধান লহ্মণ গুলো খুবই স্বাভাবিক হওয়ার কারণে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না ফলে মারাত্মক হুমকির সৃষ্টি হয়।এসব লক্ষন দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি এবং রোগীর সেবা প্রদান করা খুবই জরুরি। 
  • পেশী দুর্বলতা
  • চিবানো বা গিলতে সমস্যা বোধ করে।
  • ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধা। 
  • শ্বাস প্রশ্বাসে যন্ত্রণা। 
guillain barre syndrome disability রোগে আক্রান্তদের মধ্যে ২০% থেকে ৩০% রোগীর চিরস্থায়ীভাবে (  কিছু সমস্যা থেকে যায়। তীব্র শ্বাস কষ্টে ভুগে ৩% থেকে ৫% রোগী  মারা যায়। এবং ৭০% রোগী সঠিক চিকিৎসা ও পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ হয়।

জিবিএস রোগের চিকিৎসা (guillain barre treatment) 

guillain barre  রোগ নির্ণয় করা হয় উপসর্গের  উপস্থিতি এবং স্নায়ুবিক পরিক্ষার রিপোর্টের উপর নির্ভর করে। এর জন্য কোন অন্যান্য পরিক্ষা করার প্রয়োজন হয় না।

Guillain-Barre সিনড্রোমের রোগীদের সাধারণত নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় তাদের শ্বাস প্রশ্বাস, হৃদস্পদন, হাইপার টেনশন, অস্বাভাবিক  রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিচর্যা অত্যান্ত জরুরি। 

Guillain-Barré syndrome-এর কোনো নিরাময় নেই, কিন্তু চিকিৎসা Guillain-Barré syndrome-এর উপসর্গ কমাতে পারে এবং তাদের সময়কাল কমাতে পারে।

রোগের অটোইমিউন প্রকৃতির প্রেক্ষিতে, ইমিউনোথেরাপি, যেমন রক্ত ​​থেকে অ্যান্টিবডি অপসারণের জন্য প্লাজমা বিনিময় বা শিরায় ইমিউনোগ্লোবুলিন সাধারণত তীব্র পর্যায়ে দেওয়া হয়। উপসর্গ শুরু হওয়ার ৭ থেকে ১৪ দিন পর দেওয়া হলে এই চিকিৎসা সবচেয়ে কার্যকর।

যদি রোগের তীব্র পর্যায়ে পেশী দুর্বলতা অব্যাহত থাকে, রোগীদের পেশী শক্তিশালী করতে এবং মোটর ফাংশন পুনরুদ্ধার করার জন্য পুনর্বাসন পরিষেবার প্রয়োজন হতে পারে।
নিউরোলজি রোগ মেনিনজাইটিস  সম্পর্কে আরো পড়ুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

© Neurologyhealthinfo. All rights reserved. Distributed by ASThemesWorld