মেনিনগোকক্কাল ও মেনিনজাইটিস কাকে বলে ? মেনিনজাইটিস কেন হয়?
Neisseria meningitidis নামক ব্যাকটেরিয়া মস্তিষ্ক, রক্ত এবং মেরুদণ্ডের আবরণীতে সংক্রমিত হলে তাকে মেনিনজাইটিস বলে। মস্তিষ্কের পচনশীল এই ঘাতক রোগটি অত্যান্ত ভয়াবহ।
Neisseria meningitidis ভাইরাসের জন্য এই রোগ ছড়ায়। যে কোন মানুষে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে বেশী হয়ে থাকে শিশু, কিশোর,কিশোরীদের ক্ষেত্রে। ১ বছরের কম বয়সী শিশু ও ১০- ১৯ বছর বয়সী তরুণ তরুণীরা অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য।
মেনিনজাইটিস এর জটিলতা :
এই রোগ নির্ণয় খুবই জটিল ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে নির্ণয় না করা গেলে।
এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু বরন করে।
মেনিনগোকক্কাল আক্রান্ত ১০% থেকে ১৫% রোগীর নিশ্চিত মৃত্যু হয়। ৫% রোগী বেঁচে গেলেও চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায়।
- অনেকের শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়।
- কিডনি বিকল হয়।
- ব্রেইন নষ্ট।
এধরনের প্রতিবন্ধী হয়ে যায়।
মেনিনজাইটিসের লক্ষণ:
ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশকরার ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা দেয়।এ রোগে আক্রান্ত হলে বেশিরভাগ যে সমস্যা গুলো হয়।
- হঠাৎ তিব্র মাত্রায় জ্বর।
- মাথা ব্যথা।
- ঘাড় শক্ত হয়ে যায়।
- ত্বকে লাল, বেগুনি ফুসকুড়ি ওঠা।
- দুর্বলতা ও অসস্থিবোধ।
- চোখে আলো সংবেদনশীলতা।
এসব লক্ষণ মেনিনগোকক্কাল রোগের প্রধান উদাহরণ।
কিভাবে ছড়ায়:
ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে। পারিবারিক সদস্যদের মেলামেশা ও ঘনিষ্ঠতার ফলে।একজনের সিগারেট অন্য জন পান করার কারণে হতে পারে। বিশেষ করে আফ্রিকা ও আমেরিকা ভ্রমনকারিদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কফ, হাচি,কাশির মাধ্যমে বায়ুর মধ্যে দিয়ে অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পরে।
মেনিনজাইটিসের চিকিৎসা :
মেনিনগোকক্কাল রোগটি ইংরেজি বর্ণমালার A,C,W, এবং Y দ্বারা নামকরণ করা হয়।
এই রোগের চিকিৎসায় বয়স অনুযায়ী মেনিনজাইটিস ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। কিশোর কিশোরীদের জন্য MenACWY বা MenMCV4 ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে।
B স্ট্রাইনের রোগীদের জন্য MenB Vaccine দেয়া হয়।